মো: ইদ্রিস মিয়া একজন কৃষক, বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে। তার ২৪০ শতক জমি থাকা স্বত্তেও কৃষি কাজে সফল হতে পারছিলেন না, কারণ একটাই উনি ভাল মানের বীজ পাচ্ছিলেন না। এরমধ্যে একদিন এ আর মালিক সিডসের মার্কেট ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ মোঃ আরিফ হাসানের (০১৭৭৭৭০৬৯০৭) সাথে টি ষ্টল মিটিং থেকে জানতে পারেন এ আর মালিক সিডস প্রাঃ লিঃ মান সম্পন্ন হাইব্রীড বীজ সরবরাহ করে যার প্রতিটি বীজই রোগ সহনশীল এবং অধিক ফলন দেয়। তিনি শসার কি ভাল বীজ আছে তা জানতে চান এবং হাইব্রীড ময়নামতি জাতের শসার বীজ ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত শসার বীজ তিনি গত ২ মে ২০২০ তারিখ পরীক্ষামূলক ভাবে ০৫ শতক জমিতে প্রথমবারের মত চাষ করেন।
জমিতে বপন করার পর তিনি দেখতে পান জমিতে বীজের অঙ্কুরোদগম শতভাগ এবং প্রাথমিক অবস্থায় চারা অবস্থা ভাল, তখনই তিনি বুঝতে পারেন এই জাত ভাল ফলন দিবে। কিছুদিন পর দেখলেন গাছ সতেজতার সাথে বেড়ে উঠছে কোন ভাইরাস বা পাতা কোঁকড়ানো রোগ নাই, গাছে ফুল এবং ফল আসতে শুরু করেছে এবং প্রতিটি গিটেই শসা আসছে। উনি এবার আশায় বুক বাধলেন এবং ভাবলেন যদি শসার সাইজ, রং ভালো হয় তাহলে আমার শসা চাষে সফলতা আসবেই। এর কয়েকদিন পর উনি শসা উত্তোলন শুরু করলেন।
বাজারে যখন শসা নিয়ে গেলেন দেখতে পেলেন পাইকার উনার এই শসার প্রতি আগ্রহী বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি অন্য শসার চেয়ে কেজি ২-৪ টাকা বেশিতে বিক্রয় হচ্ছে। উনি তখন কারণ হিসাবে দেখলেন অন্য শসার সাথে এর কিছু বাড়তি গুনাবলী আছে যা বাজারে এর চাহিদা বাড়ায় ও ক্রেতা আকুষ্ট করতে পারে যেমনঃ শসার গড় ওজন ৩০০-৪০০ গ্রাম, শসার রং সুন্দর, পরিপক্ক হলেও কচি দেখায়, শসার সাইজ একই রকম, গড়ন বাঁকাতেড়া নাই দেখতে হুবুহু সেই পুরনো দেশী শসার মত। সেই থেকে উনি গত ০৭ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত মোট বিক্রয় করেছেন ৬০০ কেজি শসা যার বাজার মূল্য ২৪০০০ টাকা। উনি আরো দেখলেন জমিতে গাছের যে অবস্থা তাতে আরো ৩-৪ বার ফসল উত্তোলন করতে পারবেন সেখান থেকে আরো টাকা যোগ হবে তাতে উনার লাভের পরিমাণ বাড়বে।
তিনি বলেন, এ আর মালিক সিডস আমার আস্থারভীত মজবুত করেছে ভবিষ্যতে এ আর মালিকের সিডসের সাথে থাকার প্রত্যাশা করছি কারণ এ আর মালিক সিডস কৃষকের বন্ধু।