সাফল্য কথা
করলা গ্লোরী চাষে কৃষক আয়নালের মুখে হাসি
মোঃ আয়নাল মোল্লা পিতাঃ মৃত মুনসুর আলী মোল্লা, মাতাঃ মৃত আনোয়ারা বেগম, গ্রামঃ বাইনখাড়া, ইউনিয়নঃ কামাড়খাড়া উপজেলাঃ টংঙ্গী বাড়ী, জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ
কৃষক আয়নাল মোল্লার দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী সহ মোট পাঁচ জনের সংসার । চাষাবাদ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদের মধ্যে করলা ও ছোট করলা চাষ অন্যতম।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির করলা ও ছোট করলা চাষ করে আসছেন, কিন্তু জাত ভালো না হওয়ার কারণে সফলতা পাননি। গত এপ্রিল ২০২০ মাসে হাসাইল বাজারে ঢালী বীজ ভান্ডার-এ এ আর মালিক সিডস্ কোম্পানির একটি কৃষক মিটিং অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত কৃষক মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন আয়নাল মোল্লা। মিটিংএ এ আর মালিক সিডস্ কোম্পানির করলা ও ছোট করলা গ্লোরীর গুণগত মান ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শুনে আয়নাল মোল্লা সিদ্ধান্ত নেন গ্লোরী করলা চাষ করবেন। আয়নাল মোল্লা মিটিং শেষে ডিলার ঢালী বীজ ভান্ডার ও মালিক সিডস কোম্পানির মার্কেট ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ এর পরামর্শে দুই প্যাকেট গ্লোরি ক্রয় করেন ।
তিনি গত সেপ্টেম্বর ২০২০ মাসের শুরুতে ৭ শতক জমিতে বীজ বপন করেন। তিনি গ্লোরী করলার ভালো দাম পান, প্রতি কেজি করলা গ্লোরী গড়ে ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। কৃষক আইনাল মোল্লা এ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। তিনি মনে করছেন আরো ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবে। আয়নাল মোল্লা বলেন অন্যকোন জাতের করলা চাষ করে সে কখনো এত টাকায় বিক্রি করতে পারেননি। কারণ হিসাবে আয়নাল মোল্লা বলেন, গ্লোরী করলা দেখতে সুন্দর, রং গাঢ় সবুজ, সবগুলো করলা একই সাইজের, খেতে সুস্বাদু, বাজারে অন্য যে কোন করলার চেয়ে দাম প্রায় দ্বিগুন।
আয়নাল মোল্লা বলেন আমি মালিক সিডের গ্লোরী করলা চাষ করে খুব আনন্দিত, কারণ এলাকার অনেক কৃষক এসে আমার গ্লোরী করলার ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন, আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। আমি সকল কৃষককে মালিক সিডের বীজ চাষের পরামর্শ দিচ্ছি, কৃষকগণ আমার পরামর্শ নিচ্ছেন।
এখন আমাকে সবাই অনুসরন করছেন।